১/ সব সময় হাসি-ঠাট্টা করবে না। সবাইকে হাসানোর দায়িত্ব তোমাকে দেওয়া হয়নি। যারা সব সময় হাসি-ঠাট্টা করে, ট্রল করে বেড়ায়, প্র্যাংক করে, তারা আর যাই হোক পুরুষ হতে পারে না। তাদের ব্যক্তিত্ব বলে কিছু থাকে না। নিজেকে কুল-ডুড ভাবলেও তারা হয় বড় ধরনের লুজার।

২/ ব্যায়াম করবে। আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চাইতে শক্তিশালী মুমিন বেশি পছন্দের।

৩/ দাড়ি ছেড়ে দিবে। নারী আর নাবালকদের দাড়ি থাকে না। সিংহের দাড়ি থাকে সিংহীর না। পুরুষদের দাড়ি থাকে। সবচেয়ে সেরা পুরুষ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দাড়ি ছিল।

৪/ মোটরসাইকেলে উরাধুরা টান মেরে পুরুষ হওয়া যায় না, কাপুরুষ হওয়া যায়। আসল পুরুষেরা সবসময় অন্যদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখে।

৫/ কাপুরুষেরা সেলেব্রিটি এবং মিডিয়ার ট্রেন্ডের অনুকরণে নিজেকে উদ্ধত, অহংকারীরূপে জাহির করায় ব্যস্ত থাকে। তুমি এমন হবে না। তুমি হবে ভদ্র, উত্তম আখলাকের অধিকারী। শো-অফ করবে না, মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে না। আবার আচরণে মিনমিনে মেয়েলি ভাবও রাখবে না।

৬/ জীবনের অর্থ শুধু ভোগ করা না। সত্য, ন্যায়, নিজের বিশ্বাস ও আদর্শের প্রশ্নে তুমি হবে আপসহীন। প্রয়োজনে যেকোনো আত্মত্যাগে প্রস্তুত থাকবে। চাচা আপন প্রাণ বাঁচা, নিজে বাঁচলে বাপের নাম—এ ধরনের মানসিকতা বুদ্ধিমান পুরুষের বৈশিষ্ট্য নয়; বরং ভীরু, কাপুরুষের বৈশিষ্ট্য।

৭/ আলসেমি করে কুল হওয়া যায় না, অলসরা হয় কাপুরুষ। অলসতা যেন হয় তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু।

৮/ কাউকে কোনো কথা দিলে, তা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। যদি ওয়াদা অনুসারে কাজ করতে না পারো, তাহলে আগেই সেটা জানিয়ে দেবে। তুমি কোনো কাজের ভার নিলে অন্যরা যেন নিশ্চিন্ত থাকে যে, কাজটি ঠিকঠাকমতোই হবে। মানুষ যেন তোমাকে বিশ্বাস করে, ভরসা করতে পারে।

৯/ কাপুরুষেরা ব্যর্থতাকে ভয় পায়, অল্পতেই শিশুর মতো কান্নাকাটি শুরু করে। অপরের কাছে অভিযোগ করে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, আত্মহত্যা করে। ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে সামনে আগাও। বিপদে ভেঙ্গে পড়বে না, দৃঢ় অবিচল থাকবে। আল্লাহর উপর ভরসা করবে।

১০/ খাবার টেবিলে মোবাইল ফোন রাখবে না।

[ষোলো সপ্তম সংখ্যায় প্রকাশিত]


[1] প্রথম পর্ব পড়ে নাও এখান থেকে