১/ তোমার বন্ধু ট্রিট দিতে চাইলে খুব দামী খাবার খেতে চাইবে না। তার কাছে দামী খাবার কেনার টাকা নাও থাকতে পারে। আর পরে তুমিও একদিন তাকে ট্রিট দিয়ো।[1]

২/ বন্ধু একদিন নাস্তার বিল দিয়েছে, রিকশা/বাস ভাড়া দিয়েছে। তুমি অন্য দিন দিয়ে দেবে। রোজ রোজ একজনের ওপর দিয়ে পার হবার চিন্তা করবে না। এ অভ্যাস তোমাকে ব্যক্তিত্বহীন করে তুলবে।

৩/ তোমার পেছনের মানুষদের জন্য সব সময় দরজা খুলে দেবে। বড় হোক ছোট হোক, ধনী হোক গরিব হোক—কোনো ব্যাপার নয়। তবে নারী-পুরুষের ফ্রি-মিক্সিংয়ের সম্ভাবনা যেন না থাকে নিশ্চিত করবে।

৪/ সবার সাথে ভালো ব্যবহার করবে। বাসের হেল্পার, রিকশাওয়ালা, হোটেলের ওয়েটার, ভিক্ষুক—সবার সাথে তেমন ব্যবহার করবে, যা তুমি অন্যদের কাছ থেকে আশা করো।

৫/ কাউকে কথা বলার মাঝখানে বাধা দেবে না। আগে তাকে কথা বলা শেষ করতে দাও। এরপর তোমার যা বলার বলো।

৬/ অযথা তর্ক করবে না। হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান নয়। আমরা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। দেখার চোখ আলাদা। তুমি যেটাকে 6 দেখছ, আমি সেটাকে 9 দেখতে পারি। অথচ আমরা দুজনেই ঠিক। শুধু দেখো, সেটা ইসলামের গণ্ডির মধ্যে আছে কি না। থাকলে মেনে নাও। শান্তিতে বাঁচতে পারবে।

৭/ কেউ তোমার কোনো উপকার করলে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে ভুলবে না। সঙ্গে সঙ্গে বলবে—জাযাকাল্লাহু খাইরান (আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন)। এবং অবশ্যই উপকারকারীর কখনো ক্ষতি করার চেষ্টা করবে না।

৮/ মানুষের কাছ থেকে কোনো প্রতিদান পাবার আশায় নয়, উপকার করবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায়। উপকার করে কখনোই খোটা দেবে না।

৯/ সোশ্যাল মিডিয়ায় শো অফ করবে না। এর ফলে অন্যরা নিজেদের জীবন নিয়ে হতাশায় ভুগতে পারে, কষ্ট পেতে পারে। বদ নজর লেগে তোমার ভয়ংকর ক্ষতি হতে পারে। ১০/ ধনসম্পদ, দামী পোশাক, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সৌন্দর্য নিয়ে অহংকার করবে না। অহংকারকারীদের আল্লাহ খুবই অপছন্দ করেন। আর তোমার অহংকার করার কিছু নেই। তোমার চাইতেও সেরা সেরা মানুষ দুনিয়াতে আছে।

[চলবে ইনশাআল্লাহ]


[1] প্রথম পর্ব পড়ে নাও এখান থেকে