কিশোর বয়সের সমস্যার কোনো শেষ নাই। আমরা ছোটবেলায় পড়েছিলাম রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পটি। নায়ক ফটিক-এর বয়স তেরো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়ই তোমাদের শোনাই, কেমন?

      “বিশেষত, তেরো-চৌদ্দ বৎসরের ছেলের মতো পৃথিবীতে এমন বালাই আর নাই। শোভাও নাই, কোনো কাজেও লাগে না। স্নেহও উদ্রেক করে না, তাহার সঙ্গসুখও বিশেষ প্রার্থনীয় নহে। তাহার মুখে আধো-আধো কথাও ন্যাকামি, পাকা কথাও জ্যাঠামি এবং কথামাত্রই প্রগল্‌ভতা। হঠাৎ কাপড়চোপড়ের পরিমাণ রক্ষা না করিয়া বেমানানরূপে বাড়িয়া উঠে; লোকে সেটা তাহার একটা কুশ্রী স্পর্ধাস্বরূপ জ্ঞান করে। তাহার শৈশবের লালিত্য এবং কণ্ঠস্বরের মিষ্টতা সহসা চলিয়া যায়; লোকে সেজন্য তাহাকে মনে মনে অপরাধ না দিয়া থাকিতে পারে না। শৈশব এবং যৌবনের অনেক দোষ মাফ করা যায়, কিন্তু এই সময়ের কোনো স্বাভাবিক অনিবার্য ত্রুটিও যেন অসহ্য বোধে হয়।

      সেও সর্বদা মনে-মনে বুঝিতে পারে, পৃথিবীর কোথাও সে ঠিক খাপ খাইতেছে না; এইজন্য আপনার অস্তিত্ব সম্বন্ধে সর্বদা লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী হইয়া থাকে। অথচ, এই বয়সেই স্নেহের জন্য কিঞ্চিৎ অতিরিক্ত কাতরতা মনে জন্মায়। এই সময়ে যদি সে কোনো সহৃদয় ব্যক্তির নিকট হইতে স্নেহ কিম্বা সখ্য লাভ করিতে পারে তবে তাহার নিকট আত্মবিক্রীত হইয়া থাকে। কিন্তু তাহাকে স্নেহ করিতে কেহ সাহস করে না; কারণ সেটা সাধারণে প্রশ্রয় বলিয়া মনে করে। সুতরাং তাহার চেহারা এবং ভাবখানা অনেকটা প্রভুহীন পথের কুকুরের মতো হইয়া যায়।”

একটু কঠিন কঠিন লাগল? আচ্ছা। আমরা যত সামনে এগোব তত বুঝতে পারবে। কিশোর বয়সের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে লেখার আগে আমি আমার ৭ম-১০ম শ্রেণির ডায়েরিগুলো খুঁজে বের করলাম। সে সময় আমার আবেগ কেমন ছিল, কী ভাবতাম আমি সে বয়সে। যদিও জেনারেশন গ্যাপের দরুন তোমাদের ভাবনার সাথে আমার ভাবনা হয়তো খাপে খাপে মিলবে না। তোমরা এখন গ্যাজেট নিয়ে, টেকনো নিয়ে যত ভাবো, সেসময় আমাদের কল্পনায় অতকিছু এসে পারেনি। বস্তুগুলো ভিন্ন হলেও আবেগগুলো একই থাকার কথা। মানুষের শরীর তো আর বদলায়নি, মানসিক প্রক্রিয়াগুলো তো আর বদলায়নি, তাই না।!

ঐ যে বললাম, কিশোর বয়সের সমস্যা বহুত। সমস্যা বেশি থাকাটা সমস্যা না। মূল সমস্যা হলো ‘সমস্যাগুলো শেয়ার করার’ লোক কম। কেউ কাছে ডেকে গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে বুঝিয়ে দেবে, নেই। বাবা-মা ব্যস্ত, তাদের সময় নেই। সামান্য যেটুকু সময় তারা আমাদের দিতে পারেন, তার মাঝেই দ্রুত আমাদের বশে আনতে তাদের থেকে মেলে হয় অতিশাসন, নইলে একেবারেই বেখেয়াল। শিক্ষকরা টেক্সটবুক আর কোচিং-এর বাইরে সময়ক্ষেপণকে অলাভজনক ভাবেন। বাকি রইল বন্ধুবান্ধব, ওরা তো আমাদেরই সমান, এমন বেশি আর কী বোঝে? অথচ এই সময়ইটাতেই কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজন একজন সিনিয়র মেন্টর। যিনি শিশুর মতো প্রশ্রয়ও দেবেন, আবার এডাল্টদের মতো মূল্যায়নও করবেন; যেহেতু বয়সটাই দুটোর মাঝামাঝি।

কিন্তু সমস্যাগুলোর ধরন এমন যে, এখনই এগুলো সলভ হতে হবে। সমস্যাগুলো যদি আমরা এই ছোটবেলায়ই না ধরতে পারি, আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা যখন বড় হব, তখন সীমাহীন কষ্টে আমাদের জীবন ভরে যাবে, সে কষ্ট কাউকে বলাও যাবে না। এজন্য খুব মন দিয়ে আমাদের শুনতে হবে আজকের কথাগুলো। যত মন দিয়ে শুনব, তত সমস্যাটা বুঝতে পারা যাবে। আর যত বুঝতে পারা যাবে, তত আমরা সেই মহাসমস্যা থেকে বাঁচতে পারব। তবে তার আগে আমাদের দেহ কীভাবে কাজ করে সে ব্যাপারে কিছু ধারণা নেবো। এবং আমাদের এই বয়সে আমাদের দেহে কী কী পরিবর্তন আসে, তার ফলে মনে কী কী পরিবর্তন আসে, সেগুলো দেখব। চলো, শুরু করি আমাদের জার্নি।

ছেলে নাকি মেয়ে

তোমরা যারা লেখাটি পড়ছ, সবাই বুদ্ধিমান, সচেতন। তোমার আশপাশে তাকাও। দেখো, মানুষ দুই প্রকার—নারী আর পুরুষ। সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এই দুইপ্রকারই হয়। কেউ কেউ গর্ভকালীন জটিলতার দরুন অস্পষ্ট পরিচয় নিয়ে জন্ম নেয়। নারী বা পুরুষ কোনোটাই না, বরং দু’য়ের মাঝামাঝি কিছু অস্পষ্টতা থাকে তাদের। এদেরকে বলা হয় ‘হিজড়া’। মেডিকেলের ভাষায় বলে Intersex  বা যৌন প্রতিবন্ধী। সমাজকর্মীরা এদেরকে ‘তৃতীয়লিঙ্গ’ বলে। এদের জীবন খুব কষ্টের। বাবা-মা এদের দায়িত্ব নেয় না। সমাজে টিটকারির শিকার হয়৷ অন্য হিজড়ারা এদেরকে নিয়ে যায় নিজেদের কাছে। জীবিকার উপায় থাকে না। বেঁচে থাকার সম্বল কামাই করতে এরা চাঁদাবাজি ও নানান অশ্লীল কাজে জড়ায়।

তোমরা কি জানো, ইসলামে এদের অবস্থান কী? ইসলামী ব্যবস্থায় ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ বলে কিছু নেই। লিঙ্গ দুইটাই— হয় পুরুষ, নইলে নারী। অস্পষ্ট যাদের, তাদেরকে সার্জারি ইত্যাদির দ্বারা স্পষ্ট করা হবে। নইলে সবচেয়ে বেশি মিল খায় কোনদিকে, সেমতে তাকে হয় নারী, নইলে পুরুষ—একটা দিকে ফেলা হবে। সে পিতার সম্পত্তি পাবে। কাজ পাবে। সমাজের মাঝেই ছেলে বা মেয়ে হিসেবে থাকবে। বিয়েও করতে পারবে চাইলে। নারী বা পুরুষের সকল সামাজিক দায়িত্ব ও অধিকার তার ওপর বর্তাবে। বুঝলে? আজ যদি ইসলামী ব্যবস্থা থাকত, এদেরকে এত কষ্টের জীবন কাটাতে হতো না। কত সুন্দর, না? হতেই হবে, এ ব্যবস্থা কে দিয়েছেন দেখতে হবে না? খোদ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ দিয়েছেন। যিনি মানুষের বায়োলজি-সাইকোলজি জানেন। সবদিক বিবেচনা করে তিনি সমাধান দেন।

আজ তোমাদেরকে শোনাব, কীভাবে একটা বাবু মায়ের পেটে ছেলে হয় বা মেয়ে হয় বা হিজড়া হয়। শুনবে? চলো দেখি, তপু কীভাবে ছেলে হিসেবে জন্মালো। তপুর মা-বাবার বিয়ে হলো। মায়ের প্রতিটা দেহকোষে ৪৬টা ক্রোমোসোম। ক্রোমোসোম হলো কোষের মাঝে থাকা জরুরি তথ্যভান্ডার৷ নানান তথ্য থাকে এতে: সারা দেহের সবরকম তথ্য। চুলের রং থেকে নিয়ে দেহের ভেতর যত লক্ষ কাজ চলছে, সবকিছুর নকশা-ম্যাপ-ডিরেকশন থাকে। যত জিনিস আমাদের কোষে উৎপন্ন হয়, সব অর্ডার লেখা থাকে এখানে বিশেষ একটা ভাষায়। তোমরা DNA-এর নাম শুনেছ, জিন-এর নাম শুনেছ। ডিএনএ হচ্ছে সেই ভাষা। সে লম্বা আলাপ, অন্য আরেকদিন। তো এই ৪৬টা মানে ২৩ জোড়া ক্রোমোসোমের মাঝে দুইটাতে আছে তপুর মায়ের লিঙ্গপরিচয়। যেহেতু তিনি মেয়েমানুষ, তার এই দুটো ক্রোমোসোম হলো XX. তার দেহকোষের ডিজাইন হবে (৪৪+XX=৪৬)। ঠিক আছে?

এখন তপুর মায়ের কোষ থেকে যখন ডিম্বাণু তৈরি হলো, তখন দুই ভাগ হলো ক্রোমোসোমগুলো। ২৩টা-২৩টা হয়ে গেল। দেহকোষের অর্ধেক। ঐ XXও ভাগ হবে। তপুর মায়ের একটা ডিম্বাণুর নকশা হবে (২২+ X=২৩)। তপুর বাবার কেমন হবে? বাবার দেহকোষ হবে (৪৪+XY=৪৬)। এই Y হলো পুরুষের জন্য। Y না হয়ে X হলে তপুর বাবা পুরুষ হতেন না, মেয়ে হয়ে যেতেন। তাহলে এই (৪৪+XY)টাও ভাগ হবে যখন তপুর বাবার কোষ থেকে শুক্রাণু তৈরি হবে। তাহলে তপুর বাবার যে শুক্রাণু, সেটা কেমন হবে? কিছু (২২+X) হবে, আর কিছু হবে (২২+Y)। ঠিক তো?  [ছবি-১]

ছবি-১

এখন দেখো, মায়ের ডিম্বাণু তো সবগুলো একপদেরই ছিল (২২+X)। কিন্তু বাবার শুক্রাণু হলো দুই টাইপ। তপুর বাবা-মায়ের ডিম্বাণু-শুক্রাণু যখন যুক্ত হলো ডিম্বাণুর (২২+X) এর সাথে, তখন হয় একটা (২২+X) শুক্রাণু যুক্ত হবে। তখন সেটা হয়ে গেল (৪৪+XX), মানে তপু হবে মেয়ে। আর তা না হলে যদি বাবার (২২+Y) যদি মায়ের ডিম্বাণু (২২+X) এর সাথে মিলে যায়, তবে সেটা হবে ৪৪+XY, মানে ঠিক তপুর বাবার মতো, মানে তপু হবে ছেলে। সহজ না? তার মানে তপুটা যেহেতু একটা পোলা, তার মানে তপুর বাবার (২২+Y) টাই তপুর শরীরে এসেছে।

এখন বলো আমাকে, এক লোকের শুধু মেয়ে বাবু হয়। তার স্ত্রী শুধু মেয়ে জন্ম দেয়, ৪টা মেয়ে। বউয়ের পেটে আরেকটা বাবু। এখন লোকটা বলল: এইবার যদি মেয়ে হয়, তবে তোকে তালাক। বলো দেখি, বারবার যে মেয়ে হয়, এটা কি ঐ বউটার কারণে, না কি বাবার কারণে? রাইট। বাবার (২২+X) বারবার কাহিনি ঘটাচ্ছে। মহিলার তো কেনো ভূমিকা নেই।

এখন তোমাদের মনে প্রশ্ন এসেছে: তাহলে হিজড়া কীভাবে হয়? অনেকভাবে হতে পারে। ক্রোমোসোমে সমস্যা থাকতে পারে। XY মিক্স থাকতে পারে, মোজাইকের মতো। আমরা দেখব অধিকাংশ হিজড়া কীভাবে হয়। শুধু XY হলেই তপু ছেলে হয়ে গেল? না না। মায়ের পেটে তপুর বয়স যখন ৬ সপ্তাহ (৪২ দিন), তখন এই Y ক্রোমোসোমের কারণে তপুর ছোট্ট কুঁড়ির মতো অণ্ডকোষ থেকে বের হতে থাকে হরমোনের বন্যা। টেস্টোস্টেরোন। তপুর রক্তে ছড়িয়ে পড়ে এ বস্তু। মগজ-টু-সারা বডি। এর কাজ হলো :

১. তপুর স্ত্রীটাইপ লিঙ্গ হওয়াকে বাধা দেওয়া

২. পুরুষটাইপ লিঙ্গ তৈরি করা

৩. স্ত্রীটাইপ যা কিছু আছে সব বিলুপ্ত করা

৪. তপুর মগজকে পুরুষের মতো করে দেয়া (মগজে প্রচুর টেস্টোস্টেরোনের প্রতি সেন্সিটিভ রিসেপ্টর থাকে)

যদি এটা না হতো, তপুকে মেয়ে হওয়া থেকে Y-টা বাধা না দিত, তবে তপু মেয়ে হয়ে যেত। যদি কোনো কারণে Y-টা থাকা সত্ত্বেও দমন হয়ে থাকে। বা টেস্টোস্টেরোন তৈরি না হয়, তবে তপুর কোষ পুরুষ (XY) থাকলেও তার লিঙ্গ হবে কিছুটা মেয়েদের মতো বা অস্পষ্ট। মানে তপু হবে হিজড়া। অর্থাৎ এই ৪২ দিন বয়সের এই ঘটনাই ঠিক করে দেয় শিশুটা ছেলে হচ্ছে নাকি মেয়ে হচ্ছে নাকি হিজড়া হচ্ছে। তপুর বোন নাজিয়ার ক্ষেত্রে কী হয়েছে? যেহেতু নাজিয়ার Y নেই, সুতরাং কুঁড়ির মতো অণ্ডকোষ হতে পারেনি, টেস্টোস্টেরোন তৈরি হয়নি। ফলে স্ত্রীটাইপ লিঙ্গ-জরায়ু-ডিম্বাশয় তৈরি হতে কোনো বাধা পায়নি। মানে নারী হওয়া বাই ডিফল্ট। বাধা পেলে আমরা পুরুষ হই। ঠিক আছে না?

এখন তোমাদের একটা অন্য জিনিস শোনাই। সহিহ বুখারির হাদীস :

‘আল্লাহ মাতৃগর্ভে একজন ফেরেশতা মোতায়েন করেন। ফেরেশতা বলেন, হে রব! এখনো তো ভ্রূণ মাত্র। হে রব! এখন জমাট বাঁধা রক্তপিণ্ডে পরিণত হয়েছে। হে রব! এবার গোশতের টুকরায় পরিণত হয়েছে। আল্লাহ যদি তাকে সৃষ্টি করতে চান, তখন ফেরেশতা বলেন, হে আমার রব! (সন্তানটি) ছেলে না মেয়ে হবে, পাপী না নেককার, রিযিক কী পরিমাণ ও আয়ুকাল কত হবে? অতএব এভাবে তার তাকদীর মাতৃগর্ভেই লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়।’ [বুখারি, আস-সহীহ, হাদীস নং : ৩০৮৭]

অনেকে তো ভুল ধরতে চায় যে, ছেলে-মেয়ে নির্ধারণ হয়ে যায় মা-বাবার শুক্রাণু-ডিম্বাণু মিলনের সময়ই, মায়ের গর্ভে নয়। সুতরাং ইসলাম ভুল। আরে বাবা, ছেলে-মেয়ে হবার অর্ডার হলো, ডিজাইনটা হলো। অর্ডার মোতাবেক কাজটা হবে কিনা, সেটা তো ঠিক হবে মায়ের পেটে। ছেলে হবে নাকি হিজড়া হবে? মেয়ে হবে, নাকি হিজড়া হবে? এটা ঠিক হলো তো এই ৪২ দিন বয়স থেকে। ১৪০০ বছর আগে যখন এসব কিছুই আবিষ্কার হয়নি, তখন আমাদের নবিজি এই কথাটা কীভাবে জানলেন? যাঁর পক্ষে জানা সম্ভব তিনিই নবিজিকে জানিয়েছেন, এ ছাড়া আর কোনো উত্তর হয় না।

এই সময়ে যেকোনো সমস্যা (হরমোন নির্গত না-হওয়া, কম বের হওয়া, হরমোন-রিসিভার তৈরি না-হওয়া ইত্যাদি) তপুকে ছেলে না করে হিজড়া করে ফেলত। আবার মেয়েদের ক্ষেত্রেও হুট করে অন্য কোনো অজায়গা-বেজায়গা থেকে পুং-হরমোন বের হওয়া, মায়ের কোনো ওষুধ পুরুষ-হরমোনের মতো কাজ করা ইত্যাদির দরুন হিজড়া হয়ে যাবে। আল্লাহর শোকর যে, আমাদের এমনটা হয়নি। আসলে শরীরের কোষে কোষে এত লক্ষ বিক্রিয়া একই সাথে হচ্ছে, একটা যে আরেকটাকে বাগড়া দেয় না, এটাই বিস্ময়ের। এটাই আল্লাহর কুদরত। আল্লাহ তাঁর হুকুম দিয়ে এই ফাইন টিউনিং-টা করেন, যেটা হবার সেটাই যেন হয়। সুবহানাল্লাহ। সামনের পর্বে আমরা আরও নতুন নতুন ও দারুণ দারুণ জিনিস জানব ইনশাআল্লাহ। ততদিন আল্লাহর হকগুলো আদায় করতে ভুলো না। যিনি আমাদেরকে এতকিছু না চাইতেই দিয়েছেন ও দিচ্ছেন, তাঁকে ভুলে যাবার মতো অকৃতজ্ঞতা তো কুকুরেও দেখায় না। আমরাও অকৃতজ্ঞ হব না, কেমন?

(চলবে ইনশাআল্লাহ)