ক্রোধান্বিত সূয্যিমামার ক্রোধ হ্রাস পেতে শুরু করেছে। তিনি ঢলে পড়তে শুরু করেছেন পশ্চিমকোলে। ঠিক এমন সময় রবিনের বাসার দরজার সামনে এসে উপস্থিত হলো ওয়াহিদ। মাথায় প্রচুর প্রশ্ন গিজগিজ করছে তার। রাজ্যের সব প্রশ্নের ভিড়কে সাইডে রেখে কলিংবেলের বাটন চাপলো ওয়াহিদ।

কলিং বেলের শব্দ পেয়ে রবিনের মা রাজিয়া বেগম ছুটে আসলেন দরজার দিকে। তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন ওয়াহিদের জন্য। তাকে তিনি নিজের সন্তানের মতোই স্নেহ করেন।

দরজা খুলতেই রাজিয়া বেগম অবাক হয়ে গেলেন। বেশ লম্বা শ্যামবর্ণ সুদর্শন এক যুবক দাঁড়িয়ে আছে। পরনে একটি কালো রংয়ের পাঞ্জাবি। রাজিয়া বেগম অনেকদিন পর ছেলেটাকে দেখে ভীষণ খুশি হলেন।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, আন্টি।

ওয়া আলাইকুমুস সালাম!

এসো, এসো বাবা।

জি, আন্টি।

ভেতরে ঢুকেই ওয়াহিদ রবিনের খোঁজখবর নিতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠল। বন্ধু বলতে পাগল যেন ছেলেটা!

রবিন কোথায় আন্টি? ও কেমন আছে এখন? জ্বর কি কমেছে?

রবিন তো ওর ঘরে শুয়ে আছে বাবা। জ্বর এখন একটু কমেছে।

আলহামদুলিল্লাহ।

রাজিয়া বেগম মিষ্টি করে হেসে বললেন, ‘তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি তোমার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসি। সিঁড়ি হয়ে উঠে ঠিক ডানের ঘরটা রবিনের।’

‘আচ্ছা আন্টি, আমি ওর কাছে যাচ্ছি।’

ওয়াহিদ রবিনের রুমের দিকে চলে গেল। রাজিয়া বেগম রান্নাঘরে চলে গেলেন। বাড়িতে রবিন আর রবিনের মা ছাড়া আর কেউ থাকে না। বলতে গেলে পুরো বাড়িটাই ফাঁকা।

***

হঠাৎ গলা খাকাড়ির শব্দে তড়াক করে লাফিয়ে উঠল রবিন।

ওয়াহিদ!

ওয়াহিদ রবিনের ভয় পাওয়া দেখে হেসে ফেলল। ভ্রু দুটোকে প্রায় কপালে উঠিয়ে মাথা নাচিয়ে প্রশ্ন করল ওয়াহিদ, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, কী মামা? এমন ভিতুর ডিম কবে থেকে হলি?’

ওয়াহিদের ঠাট্টার ছলে করা প্রশ্ন শুনে রবিন ভ্রু কুঁচকে গেল।

‘ওয়ালাইকুমুস সালাম, বেটা তুই এভাবে এসে ভয় দেখাচ্ছিস আমাকে? ইচ্ছে করে এমন করলি, তাই না? হাহ্, মজা করে নাও! ওই যে কথায় বলে, হাতি কাদায় পড়লে চামচিকেতেও লাথি মারে; আমার হয়েছে সেই দশা!’

এবার একটু স্বাভাবিক হাসি দিল রবিন। মনে হচ্ছে ভয় এবং রাগ দুটোই কমে গেছে।

‘আরে বাবা, একটু মজা করলাম, স্যরি। তো, কী খবর তোর? শরীর কেমন এখন?’

রবিনের হাস্যোজ্জ্বল মুখে হঠাৎ আষাঢ়ে মেঘের আগমন ঘটল! চার দেয়ালে ধবধবে সাদা রং আর ঘরের মাঝখানে এই অপ্রত্যাশিত আষাঢ়ে মেঘ, পরিবেশটাই কেমন বদলে গেল।

‘আছি ভালোই। রাতের চেয়ে এখন জ্বর কম অনেকটাই।’ কেমন ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে উত্তরটা দিল ছেলেটা। ওয়াহিদ ঠিকই বুঝতে পারল।

ওয়াহিদ রবিনকে জিজ্ঞেস করল, ‘আন্টি রাতে কলে বলছিলেন, তুই নাকি কিছু দেখে ভয় পেয়েছিস। কী দেখেছিলি তুই?’

রবিন ভয়ে চুপসে গেল যেন। কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে কাঁপা কাঁপা গলায় ধীরে ধীরে রবিন বারবার একটি শব্দই উচ্চারণ করল—ভূ-ভূত।

রবিনের ভয় পাওয়া দেখে ওয়াহিদ নিজেকে আর আটকে না রেখে হেসেই ফেলল।

‘ভূত দেখেছিস! বড়ই সাংঘাতিক ব্যাপার তো তাহলে!’

রাজিয়া বেগম নাস্তা হাতে ঘরে ঢুকতেই দুজনের কথোপকথন শুনতে পেলেন। তিনিও ওয়াহিদের কথায় হেসে ফেললেন। ওয়াহিদ ছেলেটাই এমন মজার, সবাইকে মাতিয়ে রাখার যেন অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে ওর মাঝে। এদিকে রবিন রেগে লাল হয়ে গেছে, দেখে মনে হলো কান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়বে।

‘হ্যাঁ, হাসো হাসো। তোমরা তো হাসবেই। এখন আমাকে নিয়ে মজা তো করবেই। নিজেরা যদি দেখতে তাহলে হাসি বের হয়ে যেত, হুহ!’

‘আরে, তোর ওই ভূতকে দেখতেই তো এতদূর কষ্ট করে এলাম। তা তোর ওই ভূত কেমন দেখতে রে? কুলোকানি- মুলো দাঁতী না-কি?  হাহাহা!’

রবিনের গোমড়া মুখের দিকে চোখ পড়তেই খুব কষ্টে হাসিটুকু ঢোক গিলে পেটের ভেতর নামিয়ে ফেলল ওয়াহিদ।

‘আচ্ছা, কী দেখেছিলি একটু বল শুনি।’ ঘাড় উঁচিয়ে মিছিমিছি খোঁজার ভঙ্গিতে প্রশ্নটা করল ওয়াহিদ।

রবিনের মুখ শুকিয়ে গেছে ভয়ে। বুক দুরুদুরু করছে। গতরাতের ঘটনা যতবারই মনে পড়ছে ততবারই চোখের সামনে ভাসছে সেই ছায়া! নিজেকে একটু সামলে রাতের ঘটনা বর্ণনা করতে শুরু করল সে।

‘আমার ঘরের বারান্দায় দাঁড়ালে বাসার সামনের ছোট রাস্তাটা দেখা যায়। ছোট্ট শহর তো, রাত ১০টার পর লোকজনের চলাচল বলতে গেলে একদমই কমে যায়। মাঝে মাঝে দু-একজনকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। আমার এই বাসার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা এই বারান্দাটা। আমি রাতে এখানে এসে একটু বসি। বিকেলেও বসি; তবে রাতে বেশিক্ষণ থাকি। নির্জনে বসে বাইরের রাস্তাটা দেখতে দারুণ লাগে। নীরব পরিবেশ। শহর হওয়া সত্ত্বেও এমন কোলাহলমুক্ত জায়গাটা! খুবই মনোমুগ্ধকর। তুই তো জানিস, আমি এমন পরিবেশ পছন্দ করি বরাবরই।

আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে পরিবেশটা উপভোগ করছিলাম। বেশ শীতল বাতাস বইছিল। চোখ বন্ধ করে বাতাস অনুভব করছিলাম। শীতল বাতাস বারবার আলতো করে ছুঁয়ে দিচ্ছিল আমার শরীর। খুব ভালো লাগছিল তখন। চোখ মেলতেই হঠাৎ...!’

এটুকু বলেই থেমে গেল রবিন। ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে বোধহয়। টেবিলের ওপর থেকে পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে দ্রুত গতিতে শেষ করে ফেলল সবটুকু পানি।

ওয়াহিদ খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ল সম্পূর্ণ বিষয়টা জানার জন্য। রবিনের ডান কাঁধে হাত রেখে সে জিজ্ঞেস করল, ‘থামলি কেন! বল, তারপর কী দেখলি?’

দ্বিতীয়বারের মতো গ্লাসে পানি নিয়ে গলা ভিজিয়ে রবিন আবার বলতে লাগল—

‘চোখ মেলে গাছগুলোর দিকে তাকিয়েছিলাম। জায়গাটায় খুব একটা আলো ছিল না, বেশ অন্ধকার। হঠাৎ আমার দৃষ্টি গেল বারান্দার নিচের দিকে। আর নিচে তাকাতেই স্পষ্টভাবে এমন একটা ছায়া দেখলাম যে, আমার রক্ত হীম হয়ে গেল। শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল একটা অনুভূতি বয়ে গেল। এমন ভয়ানক কিছু আমি জীবনেও দেখিনি । মনে হচ্ছিল আমি ওখানেই জ্ঞান হারাব।’

রবিন হাত উঁচিয়ে ওয়াহিদকে দেখালো, ‘একটা লম্বা ছায়া, মানুষের মতো মনে হলো। কিন্ত আরেকটু ভালোভাবে তাকানোর পর দেখলাম, ছায়ার শরীর থেকে দুটো ডাল বের হয়েছে। তাও আবার মানুষের হাতের মতো নড়াচড়া করাচ্ছে ওগুলো! আমি ভয় পেয়ে চিৎকার করতে শুরু করি। তারপর দেখলাম, ছায়াটা অদ্ভুতভাবে চলে গেল। মনে হলো, ছায়াটা এদিকে উঁকি দিচ্ছিল। আমার চেঁচামেচি শুনে পালিয়ে গেল। আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। মাথার ভেতর কেমন ঝিমঝিম করছিল। কাঁপতে শুরু করেছিলাম ভয়ের চোটে। দম বন্ধ হয়ে আসছিল যেন।’ কথাগুলো বলতে বলতে রবিন ভয়ে কেঁপে উঠল।

মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শুনতে শুনতে ওয়াহিদ বেশ অবাক হলো। হয়তো কিছু ভাবছে সে। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হলো নিজেই এতটা বিস্মিত হলে বা ভয় পেলে রবিনকে সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে। তাই দ্রুত নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে রবিনের কাঁধে একটা চাটি মেরে হেসে উঠল সে।

‘ভূতগাছ! হাহাহা। ভূতগাছ!’

ওয়াহিদের হাসি দেখে রবিন রেগে গেল। ওর লাল মুখ দেখে হাসি থামিয়ে দিল ওয়াহিদ। ভালো করেই বুঝতে পেরেছে সে, এবার হাসলে রবিন আর ওকে আস্ত রাখবে না। তাই মেকি ঢোক গিলে পশ্চিমের জানালার দিকে নজর সরিয়ে ফেলল ওয়াহিদ।

কিছুক্ষণ রবিনের দিকে তাকিয়ে থাকার পর পরিস্থিতি বদলানোর জন্য একটা প্রস্তাব দিল ওয়াহিদ। এতে করে যেন রবিন একটু স্বাভাবিক হয়, এই আশায়।

‘রবিন, চল আমরা ঘুরতে যাই। তোর এই ছোট্ট শহরে দুজন মিলে ঘুরব আজ। কী রে, যাবি?’

এতক্ষণ ভয়ে কুঁকড়ে ছিল রবিন। তবে বেড়াতে যাওয়ার কথা শুনেই যেন মন নেচে উঠেছে তার। এক লাফে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ল সে। চকচকে দাঁতকপাটি বের করে রবিন বলল, ‘যাব না মানে? আলবত যাব!’

রবিনের মাথায় হাত রেখে ওয়াহিদ বলল, ‘আচ্ছা, তুই ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে আয়। আসরের আযান হলো; চল, আগে মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করব। তারপর ঘুরব।’

দুইবন্ধু একসাথে মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করে একসাথে ঘুরল বেশ কিছু জায়গায়। বেশ মজা করল দু’জনে। রাতে বাসায় ফিরে রাজিয়া বেগমের হাতের সুস্বাদু সব খাবার খেয়ে দুজনেই ঘুমাতে গেল। বিছানায় শোবার সময় ওয়াহিদের মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি উঁকি দিল। ওমনি সে রবিনকে বলল, ‘বন্ধু, ভূতগাছ!’

রবিন ভয়ে আঁতকে উঠে এদিকে ওদিকে তাকাতে শুরু করল। বেচারা খুব ভয় পেয়ে গেল। হঠাৎ যখন বুঝতে পারল ওয়াহিদ ফাজলামো করেছে, তখন ওয়াহিদের পিঠে একটা কিল বসিয়ে বিদ্যুৎ গতিতে কাঁথাটা টেনে মাথা পর্যন্ত ঢেকে শুয়ে পড়ল। এদিকে ওয়াহিদ হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে রবিনের কাণ্ড দেখে। চাঁদমামাও যেন জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দু’বন্ধুর কাণ্ডকারখানা দেখছে আর হাসছে!

***

পরদিন।

ওয়াহিদ রবিনদের বাসার চারপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখল। বাসা থেকে প্রায় পাঁচ মিনিট দূরেই একটা ছোট্ট বাজার। ওয়াহিদ সেখানেও গেল। ফেরার পথে বেশ বড় দেখে ইলিশ মাছ নিয়ে ফিরল। অবশ্য ওয়াহিদ নিজে ইলিশ একদম-ই পছন্দ করে না। তবে বন্ধুর খুব পছন্দ তাই মাছটা কেনা। রাজিয়া বেগম ওয়াহিদের কাজ দেখে হেসে বললেন, ‘দেখো, পাগলের কাণ্ড! এসব কেন, বাবা?’

‘আন্টি, রবিন তো ইলিশ মাছ খেতে খুব পছন্দ করে। তাই ভাবলাম ওর জন্য…’

‘পাগল ছেলে একটা!’

রবিনের মা খুব ভালো করেই জানেন ওয়াহিদ রবিনকে নিজের ভাইয়ের মতো ভালোবাসে। রবিনের নিজের যে কোনো ভাইবোন নেই, এটাও যেন সে মানতে নারাজ। কারণ, তার ওয়াহিদ আছে। ওয়াহিদ বড় ভাইয়ের মতোই আপদ-বিপদ, সুখ-দুঃখ সবকিছুতেই রবিনের পাশে থাকে। দুইভাইকে একসাথে দেখলে মায়ের মন জুড়িয়ে যায়।

মাগরিবের সালাত আদায় করে রবিন ও ওয়াহিদ বাসায় ফিরে আসার পর ওয়াহিদ রবিনকে বলল, ‘বারান্দায় গিয়ে বসতে। রবিন তো কোনোমতেই যাবে না বারান্দায়। তবুও ওয়াহিদ জোর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেল ওকে।

সত্যিই বারান্দাটা খুব সুন্দর। বারান্দায় টিমটিমে একটা বাল্ব জ্বলছে। একটা চেয়ার রাখা। কয়েকটা ফুলের টব ঝুলছে গ্রিলের সাথে। কোণার দিকেও ক’টা টবে গাঁদা ফুল ফুটে আছে।

বাতাসে তাদের ঘ্রাণ ভেসে আসছে। বেশ সুন্দর করে সাজানো সব। বারান্দায় দাঁড়িয়ে সামনের সরু রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে। এখানে সবকিছুই যেন খুবই সুন্দর। একদম ক্যানভাসে আঁকা ছবির মতো।

‘আরে মামা! সত্যিই এখানে দাঁড়িয়ে খুব ভালো লাগছে। তবে তোর ভূতটাকে খুব মিস করছি রে। কই সে? ডাক না তাকে!’

‘ওয়াহিদ! দেখ, সবসময় ফাজলামো ভালো লাগে না। এমনিই আসতে চাচ্ছিলাম না এখানে, জোর করে টেনে নিয়ে আসলি। আর এখন আবার এসব বলছিস? আমি চললাম ভেতরে।’

‘আরে আরে! বেটা, যাস কই? ভিতুর ডিম একটা, হাহাহা!’

ওয়াহিদ পেছন থেকে রবিনের শার্টটা চেপে ধরে এক টান দিল। টান সামলাতে না পেরে পেছনের দিকে এগিয়ে আসলো রবিন৷ রাগে যেন ওর গা জ্বলে যাচ্ছে। ওয়াহিদকে ধরে ইচ্ছেমতো ধোলাই দিতে ইচ্ছে করছে। তবে ওয়াহিদের শার্ট ধরে ওকে মারার আগেই রবিনের চোখ গেল বারান্দার নিচের দিকে। সেখানে আবার সেই ছায়াটা দেখা যাচ্ছে! ওয়াহিদের শার্ট ছেড়ে দিয়ে রবিন চিৎকার করে উঠল, ‘ভূত! ভূত! ওয়াহিদ দ-দেখ!’

আঙুল দিয়ে বারান্দার নিচের দিকে দেখালো রবিন। ওয়াহিদও দেখল ছায়াটা। ওয়াহিদ জোরে আওয়াজ দিল, ‘কে? কে ওখানে? কথা বলছেন না কেন?’

রবিনের চিৎকার বেড়েই চলেছে। ধপ করে বসে পড়ল রবিন। যেন শরীর নিথর হয়ে গেছে ভয়ে। ছায়াটাকে পালাতে দেখল ওয়াহিদ। সে দৌড়ে দোতলা থেকে নেমে বাইরে গেল। কিন্তু গিয়ে আর কিছুই খুঁজে পেল না। শুধু একটা রঙিন কাগজের তৈরি ফুল ছাড়া।

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

[ষোলো ৬ষ্ঠ (মে-জুলাই ২০২৪) সংখ্যায় প্রকাশিত]