গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ার জন্য হোক কিংবা জাতির মেরুদণ্ড গড়ার জন্যই হোক, পড়াশোনার জন্য আমরা অনেকেই অনেক কষ্ট করি। অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করি, ত্যাগ করি। তা ছাড়া মনীষীরা তো বলেই গিয়েছেন—ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ! তাই সুখের জন্য কিছু ত্যাগ আসলেই করা উচিত। পড়াশোনার জন্য আমাদের সেরকমই একটি ত্যাগ হলো, বাড়ির আয়েশী জীবন ছেড়ে হোস্টেলের কষ্টের জীবনের সাথে সন্ধি করা।

হোস্টেল লাইফ কিছুটা কষ্টের হলেও, ছাত্রজীবনের বেশ আনন্দদায়ক কিছু মুহূর্ত উপভোগ করা যায় হোস্টেলেই। নতুন নতুন হোস্টেলে আসার পর কিছুদিন মন খারাপ থাকে। বারবার বাড়ির কথা মনে পড়ে, বাবা-মায়ের কথা মনে পড়ে। এই খারাপ লাগা থেকে মনের মাঝে শূন্যতা তৈরি হয়। আর শূন্যতা থেকে মাথা গজাতে শুরু করে নানা ধরনের জটিলতা। পড়াশোনায় খেই হারিয়ে ফেলা, অহেতুক আড্ডায় সময় নষ্ট করা, এলোমেলো দিনরাত্রি, হারাম রিলেশন, মাদকাসক্তি ইত্যাদি অনেক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে অনেকেই।

ভাইয়া ও আপুরা, তোমাদের অনেকেই হয়তো হোস্টেলে বা মেসে থাকো। লম্বা সময় হোস্টেলে আর মেসে থাকার অভিজ্ঞতা আছে বলে বাবা-মাকে ছেড়ে থাকাটা কতটা কষ্টের তা আমরা বুঝি। সুধারণা রাখি—হোস্টেলের ছকে বাঁধা জীবনে ছাত্রজীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টা সুন্দরভাবেই পার করছ তোমরা। তবুও ‘বড় ভাইয়া’ হিসেবে অল্প কিছু রিমাইন্ডার দিয়ে যাই, যেন কখনো শয়তানের ফাঁদে পড়ে তোমাদের ছাত্রজীবন নষ্টজীবন না হয়ে যায়।

রিমাইন্ডারগুলো হোস্টেলের ছাত্রদের কিছু কমন সমস্যা নিয়ে। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা অনিচ্ছাকৃতভাবেই এসব সমস্যার কাছে নিজেদেরকে শর্তহীন বন্ধক দিয়ে দেয়! এতে করে প্রচণ্ড মেধাবী ছাত্রটাও একসময় হারিয়ে যায় খেই হারানোর স্রোতে! তাই তোমরা এ বিষয়গুলো খেয়াল রেখো।

১. স্বাধীনতা মানেই উদ্দাম ঘুরাঘুরি নয়

হোস্টেলে বা মেসে উঠার পর সর্বপ্রথম যে ব্যাপারটার সাথে ছেলেমেয়েরা পরিচিত হয়, তা হলো উদ্দাম স্বাধীনতা। স্কুল বা কলেজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত না হলে এসবে কোনো ধরনের জবাবদিহিতা থাকে না। খাঁচা থেকে মুক্তি পাওয়া পাখির মতো এলোমেলো উড়ে বেড়ায় সবাই। যেই পড়াশোনার জন্য বাবা-মাকে ছেড়ে হোস্টেলে আসা, সেই পড়াশোনা তখন ডুকরে ডুকরে কাঁদে। রেজাল্টের অবস্থা তো বারোটা বাজার উপক্রম হয় তখন।

এমনটা করা যাবে না। লাগামহীন স্বাধীনতায় লাগাম পরাতে হবে। উদ্দাম ঘুরাঘুরি না করে সুবোধ বালকের মতো পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে হবে।

২. ‘অসামাজিক’ হও

হোস্টেলের এলেবেলে জীবনে আরেকটা সমস্যা দেখা দেয়। নতুন নতুন হোস্টেলে এসে অনেকেই অতিরিক্ত সামাজিক হয়ে যায়। পড়াশোনা বাদ দিয়ে রুমমেটের সাথে অপ্রয়োজনীয় গল্পে মেতে উঠে। অনেক সময় দেখবে, পাশের রুম থেকে কেউ কেউ গল্প করার জন্য আসতে পারে। এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। পড়ার সময় কেউ গল্প করতে আসলে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেবে যে, তুমি বিরক্ত হচ্ছ। ইশারায় কাজ না হলে, বিনয়ের সাথে বলে দেবে যে, তুমি এখন পড়তে বসবে।

যেই ‘সামাজিকতা’ তোমার পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটায়, সেই সামাজিকতায় সামাজিক হওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং এসব ক্ষেত্রে তুমি ‘অসামাজিক’ হও। ঠিক আছে?

৩. খাও যদি খাবার একসাথে

পড়ার সময় গল্প-গুজবে না জড়িয়ে ‘অসামাজিক’ হলেও, অন্যান্য সময়ে সামাজিকতা রক্ষা করে চলবে। বিশেষ করে খাবার সময়ে। চেষ্টা করবে রুমের সবাই একসাথে খেতে। মাঝেমধ্যে একজনের খাবার আরেকজনকে শেয়ার করলেও সম্পর্ক মজবুত হয়। কখনো যদি খাবার একটু কম থাকে, সেক্ষেত্রে ভাগাভাগি করে খাবে। এতে সম্পর্কের হৃদ্যতা বাড়ে।

খাবার কম আছে দেখে তুমি আগেভাগে খেয়ে নিলে পেট পুরে, পরে একজন না খেয়ে থাকল, এমন যেন না হয়। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সে ব্যক্তি মুমিন নয়, যে নিজে পেট পুরে খেল; কিন্তু তার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকল।’ (বুখারি, আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং : ১১২)

৪. অনলাইনে অসময়ে

আরেকটা কমন সমস্যা হচ্ছে, অনলাইন আসক্তি। এটাতে অবশ্য শুধু হোস্টেলের দুরন্ত ছেলেপেলেই নয়, বাবা-মায়ের সাথে থাকা নাদুসনুদুস ছেলেমেয়েরাও আসক্ত হয়। অনলাইন আসক্তি কমাতে হবে। এখন তো স্কুল-কলেজে অফলাইনেই ক্লাস হচ্ছে। তাই তোমাদের মতো ষোলোদের অনলাইনে প্রয়োজনীয় কাজ থাকে না বললেই চললে। তাই অপ্রয়োজনে অনলাইনে সময় নষ্ট কোরো না।

অনলাইন আসক্তি বা স্ক্রিন-আসক্তির কারণে তোমার স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে। এ ছাড়া আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অনলাইন থেকে বিরতি নিতে পারলেই সবচেয়ে ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।

৫. পড়াশোনায় হও নিয়মিত

হোস্টেলের ছেলেমেয়েদের আরেকটা কমন সমস্যা হলো, পড়াশোনায় অনিয়মিত হয়ে পড়া। দিনের পর দিন নিঃস্বার্থ আড্ডাবাজিতে পড়াশোনার সাথে সাক্ষাৎ হয় কদাচিৎ। জমতে জমতে উহুদ পাহাড় সমান পড়া জমে যায় পরীক্ষার আগে। সরিষা ফুল ছাড়া চোখে আর কিছুই দেখা যায় না তখন।

শোনো ভাইয়া ও আপু, তোমরা কৌশলী হও। মাঝেমধ্যে বন্ধু-বান্ধবের সাথে একটু-আধটু আড্ডাবাজি করো, সমস্যা নেই। কিন্তু পড়াশোনার সাথে ব্রেকআপ করে নয়। পড়াশোনার সাথে রিলেশন কন্টিনিউ করতে হবে। খুব বেশি পড়তে হবে, এমন না। প্রতিদিনের ক্লাসের পড়াটা পড়ে নিলেই হবে। তাহলে আর পরীক্ষার আগের রাতে সরিষা ফুল দেখতে হবে না। গোলাপ ফুলও দেখতে পারবে!

৬. দিনকে সাজাও রুটিনের সাজে

এলোমেলো কোনো কিছুতেই বারাকাহ থাকে না। হাদীসে আছে—আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। ছাত্রজীবনের একটা সৌন্দর্য হচ্ছে, রুটিনমাফিক পড়াশোনা করা। শুধু পড়াশোনা না, দিনের সবগুলো কাজ রুটিনে সাজিয়ে নিলে দিনগুলো অনেক সুন্দর হয়ে যায়। হোস্টেলের ছেলেমেয়েদের তো এ ব্যাপারে বেশ দুর্নাম আছে। তারা না কি প্রচণ্ড অগোছালো। আশা করি, তোমরা এসব দুর্নামের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। প্রত্যেকটা দিনকে রুটিনের সাজে সাজিয়ে নেবে। দেখবে, সব কাজে কেমন বারাকাহ পাচ্ছ, ইনশাআল্লাহ।

৭. নিশি রাইতে বইয়ের সাথে

অনেকের একটা বদভ্যাস আছে। সারাদিন, এমনকি সন্ধ্যায়ও পড়তে বসে না। বইয়ের সাথে তাদের প্রণয় হয় নিশি রাইতে। অথচ পড়াশোনার জন্য এই সময়টা অপেক্ষাকৃত কম প্রোডাক্টিভ। আর রাত জেগে পড়াশোনা করে নিশাচর প্রাণী হলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। বিস্তারিত জানতে পড়ো - ছাত্রজীবন সুখের জীবন!

তাই নিশি রাইতে বইয়ের সাথে প্রণয়ের অভ্যাস বাদ দাও। পড়াশোনার জন্য প্রোডাক্টিভ সময় বেছে নাও।

৮. তুমি হবে সকাল বেলার পাখি

কেউ রাত জেগে আড্ডাবাজি করে সকালে ঘুমায়। কেউ আবার গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করে সারা সকাল ঘুমায়। এটা মোটেই ভালো অভ্যাস নয়। বুদ্ধিমানের কাজ হলো, রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে সকালে দ্রুত জাগা। তুমি হবে সকাল বেলার পাখি। সূয্যিমামা জাগার আগেই তুমি জেগে উঠবে। তবেই না ফুলের বনে ফুল ফুটাতে পারবে, অন্ধকারে আলো জ্বালাতে পারবে। 

তা ছাড়া পড়াশোনার জন্যও সকাল বেলা সর্বোত্তম সময়। সারাদিনের মাঝে সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ সময় হলো সকাল বেলা। এই সময়ে সকল কাজে বারাকাহ পাওয়া যায়। এ সময়ে পড়লে দেখবে, অল্প সময়ে অনেক পড়া আয়ত্ত করতে পারছ।

৯. প্রেমের মরায় তুমি ডুবো না

বয়ঃসন্ধিকালের একটা বড় চ্যালেঞ্জ হলো, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করা। চারপাশে বন্ধুদেরকে হারাম প্রেমের অলিগলিতে ঘুরতে দেখে নিজেকে দমিয়ে রাখা বেশ কষ্টকরই বটে। হোস্টেল লাইফে সমস্যাটা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। দেখা যায়, রুমমেট হারাম রিলেশনে জড়িয়ে আছে; আর গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড নামক বস্তুটার সাথে মোবাইলে সারাক্ষণ ফুটুর ফুটুর করছে। এসব দেখে নিজেকে দমিয়ে রাখতে হয়তো অনেক কষ্ট হবে। এই কষ্টটা মেনে নিতে হবে!

শোনো ভাইয়া ও আপু, এই অশান্ত ফিতনার সময়ে নিজেকে পবিত্র রাখতে পারলে সাওয়াবও বেশি পাবে। আর সময় হলে জীবনের এক সবুজ সকালে আল্লাহ তোমার জন্য ঠিকই চক্ষু শীতলকারী কাউকে পাঠিয়ে দেবেন। সে পর্যন্ত নিজেকে পবিত্র রাখো।

আরেকটা বিষয় মন দিয়ে শুনো। একটা ছেলে বা মেয়ের সুন্দর ছাত্রজীবন ধ্বংস হওয়ার জন্য একটা হারাম রিলেশন-ই যথেষ্ট। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের পেছনে কী পরিমাণ সময় যে নষ্ট হয়, তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বেশিরভাগ প্রেমেই বিভিন্ন সময় মন কষাকষি, অভিমানী ঝগড়া, সন্দেহের চোরাবালি জীবনের আনন্দ একদম মাটি করে দেয়। পড়াশোনার বারোটা বাজিয়ে দেয়। তাই প্রেমের মরায় নিজেকে ডুবিয়ো না। সবর করো। প্রেমের গলি-ঘুপচি নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য পড়তে পারো লস্ট মডেস্টির আকাশের ওপারে আকাশ’ বইটি।

১০. বালিশে মিলেমিশে

যতই দিন যাচ্ছে একের-পর-এক ফিতনা আমাদেরকে অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ধরছে। আজকাল এমন কিছু ফিতনা মাথচাড়া দিয়ে উঠেছে, যেগুলো এক যুগ আগে আমরা কল্পনাও করিনি। সেরকমই একটি ফিতনা হলো সমকামিতার ফিতনা। যেই অপরাধের জন্য আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা লূত আলাইহিস সালামের জাতিকে নজিরবিহীন আযাব দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন, সেই অপরাধকে আজ সমাজে ‘অধিকার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইবলীসের বাহিনী উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের চক্রান্ত থেকে রেহাই পাচ্ছে না তোমাদের মতো ‘ষোলোরাও’।

হোস্টেল-মেসেও ইদানীং এই ফিতনা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক সময় তোমরা ক্লোজ ফ্রেন্ডদের সাথে একই বিছানায় ঘুমিয়ে থাকো। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু আদব মেইনটেইন করবে। যেমন- একই কম্বল বা কাঁথার নিচে ঘুমাবে না। এ ব্যাপারে হাদীসে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আছে।

এ ছাড়া কারও মাঝে সমকামী আচরণ দেখতে পেলে (ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে) তাকে বোঝাতে হবে। তার মাঝে পরিবর্তনের লক্ষণ না দেখলে তাকে এড়িয়ে চলতে হবে। একই রুমে থাকা বাদ দিতে হবে। বাবা-মা, শিক্ষক বা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে কৌশলে জানাবে।

১১. আগুনের সাথে সন্ধি

হোস্টেল লাইফে ছেলেমেয়েরা যে সমস্যাটাতে সবচেয়ে বেশি জড়িয়ে পড়ে, তা হলো সিগারেটের আগুনের সাথে সন্ধি। কেউ শখের বসে এই বদভ্যাসের কাছে নিজেকে বন্ধক দেয়, কেউবা জীবনের বিভিন্ন না পাওয়ার বেদনা ভুলে থাকার জন্য আগুনের কাছে নিজেকে বন্ধক দেয়।

‘এক টানে দুই টানে কিছু হয় না’ ভেবে শুরু করা এই বদভ্যাস অধিকাংশ সময় স্রেফ সিগারেটের আগুন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে না। সিগারেটের আগুনের প্রেম একে টেনে নিয়ে যায় মাদকের তরল নেশা পর্যন্ত। মৃত্যুর আগেই মরণ হয় একটি সুন্দর প্রাণের। ধ্বংস হয় ছাত্রজীবন, কবর রচিত হয় বাবা-মায়ের স্বপ্নের।

ভাইয়া ও আপুরা, ভুলেও কখনো আগুনের সাথে সন্ধি করবে না। এই আগুন শুধু দুনিয়াতেই পোড়ায় না, আখিরাতে জাহান্নামের আগুনেরও বন্দোবস্ত করতে থাকে।

ভাইয়া ও আপুরা, ওপরের এই সমস্যাগুলোর কাছে কখনোই অসহায় আত্মসমর্পণ করবে না। বরং তোমরা হবে পরবর্তীদের জন্য আদর্শ ভাইয়াপু। ছোস্টেলের প্যারাময় লাইফকে একটি সুন্দর ছাত্রজীবনের অণুঘটক বানিয়ে নাও। দেশ ও দশের কল্যাণের জন্য ভালোভাবে পড়াশোনা করো। পৃথিবীকে বদলাতে চাইলে সব মানুষকেই আগে বদলাতে হবে, এমন না। তবে যারা পৃথিবী বদলানোর কাজ করবে, তাদের নিজেদেরকে বদলাতে হবে আগে। তুমি কি সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে চাও না কি খেলতে চাও একেবারে স্ট্রাইকিং পজিশনে?


[চতুর্থ সংখ্যায় (জুন-আগস্ট ২০২৩) প্রকাশিত]